প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকের বানী:
অবিসংবাদিত, অবিনশ্বর, শাশ্বত, চিরন্তন জীবনাদর্শের চুুড়ান্ত ও একমাত্র বুনিয়াদ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বিস্ময়কর মহাগ্রন্থ আল-কুরআন। আর এরই প্রথম বাণী হল “পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন”। মানব জীবনে ইহলৌকিক ও পরলৌকিক সফলতার মূল কথাটাই প্রতিফলিত হয়েছে ওহীর এই বাণীতে। কুরআনের এই শ্বাশত নির্দেশনা থেকে আজ আমরা ও আমাদের সন্তানেরা অনেকখানি পিছিয়ে পড়েছি। “Today’s children are the future of tomorrow”অর্থাৎ আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। এ জন্য প্রত্যেক শিশুকে সৎ ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয় একান্ত প্রয়োজন। সু-শিক্ষা এবং সঠিক পরিবেশই গড়ে তুলতে পারে মানুষকে পরিপূর্ণ সভ্য মানুষরূপে এবং তারই জন্য বহন করবে দুনিয়া ও আখিরাতের অবারিত কল্যাণ। তাই আদর্শ শিক্ষার এই ক্রান্তিলগ্নে একটি শিশুকে সু-পরিকল্পিতভাবে বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সময়োপযোগী উন্নত পাঠ্যক্রম প্রনয়ণের মাধ্যমে শিশুদের সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ও জাতিকে দক্ষ মানব সম্পদ উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বর্তমান যুগের চাহিদার আলোকে ১২ জন যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, স্টাফদের নিয়ে এগিয়ে চলছে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান। এখানে সহীহ-শুদ্ধভাবে আল কুরআন হিফজের পাশাপাশি ৫ম শ্রেণীর সমাপনী, ৮ম শ্রেণীর জেডিসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সহিত পাশ করছে। এভাবে ক্রমান্বয়ে সর্বোচ্চ দ্বীনিশিক্ষা অর্জনের প্রতিভা নিয়ে বাহির হবে এটাই আমাদের কাম্য। আল্লাহ আমাদের এই প্রচেষ্টাকে কবুল করুন। আমিন!
হিফজ মাদরাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগঃ আমাদের সমাজে অনেক হিফজ প্রতিষ্ঠান আছে। যাহা পবিত্র কুরআন সংরক্ষনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। তবে আমরা লক্ষ্য করেছি অনেক ম্যাজিষ্টেট, ডাক্তার, প্রফেসর ইত্যাদি গন্যমান্য মানের ব্যক্তিত্ব তাবলিগের দ্বীনের সাথে সময় লাগানো দ্বীনদার মানুষের থেকে চলাফেরা করে তাঁদের সন্তানদের ইসলামী পরিবেশে পড়ানোর নিয়ত করে থাকেন। কিন্তু যখন তাদের সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যেয়ে দেখেন যে আবাসিক ব্যবস্থা, খাওয়ার মেনু, পরিস্কার পরিছন্নতা রুচির সাথে মেনে নেওয়া কঠিন। সে ক্ষেত্রে তারা অনেক সময় বিমুখ হয়ে যান। আমি আমার মেয়েদের আন্তর্জাতিক মানের কুরআন হিফজ করাতে যেয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ-খবর নিয়েছি। পছন্দমত প্রতিষ্ঠান খুবই কম, যা আছে তা সাধ্যের বাহিরে। সেই দিক দিয়ে লক্ষ্য করে মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিনের উপর ভরসা করে পবিত্র কুরআন মাজিদ সংরক্ষনের দা’ঈ হিসাবে রিয়াজুল জান্নাত হাফিজিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠার নিয়ত করি। রিয়াজুল জান্নাত হাফিজিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠাঃ মে’১৩ খ্রিস্টাব্দে কয়েকজন হাফেজ, হাফেজা দ্বারা এলাকাবাসী ও ইমাম-আলেমদের পরামর্শ নিয়ে বিল্ডিং ভাড়া করে শুরু হয় একটি বালিকা হাফিজিয়া মাদরাসা। যাহা আধুনিকতার ছোয়ায় সু-শৃংখল পরিবেশে খাওয়া, পড়া, ঘুম, খেলা-ধুলা ইত্যাদি ২৪ ঘন্টা নিয়মতান্ত্রিক রুটিং এর মধ্য দিয়ে চালিত। সাথে অল্প কিছু সময় কোচিং ভিত্তিক সাধারন শিক্ষা (বাংলা, ইংরেজী, গণিত ও আরবী) শিক্ষা দেওয়া হয় যাহা হিফজ শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া সম্ভব হয় না। এটি অভিভাবকদের খরচের উপরই নির্ভরশীল। হাটি হাটি পা পা করে রিয়াজুল জান্নাত ৫ম বছরে পা দিয়েছে। আবাসিক ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সম্মত খাবার ও পড়াশুনার মান যাঁচায়ে এর সুনাম সাতক্ষীরা জেলা ব্যাপী হিফজ শিক্ষাক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় আমাদের উপলব্দি হয়েছে যে, সাতক্ষীরা, যশোর এবং খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে মেয়েদের মধ্যে পড়ার মানের দিক দিয়ে আমরা এগিয়ে আছি ইনশাআল্লাহ। আমাদের আশা আল্লাহ রব্বুল আলামীন সকলের সহযোগিতায় জাতীয় পর্যায় পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রিয়াজুল জান্নাত, উঠবে ইনশাআল্লাহ। সর্বদিক মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সামনে এগিয়ে নেওয়ার আশায় আমরা আপনাদের দুআ ও একান্ত সহযোগিতা কামনা করছি।
মো. শহিদুল ইসলাম
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক: রিয়াজুল জান্নাত হিফজ মাদরাসা, সাতক্ষীরা
মোবাইলঃ ০১৮৩৯-৯৭৯৮৯০